গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে পেছাল বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে একধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৬৩তম। এর ঠিক দুই ধাপ ওপরে আছে ভারতের অবস্থান। তালিকায় দেশটির অবস্থান ১৬১তম। বাংলাদেশের মতো এবার এই সূচকে পিছিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। গতবার দেশটির অবস্থান ৪২তম থাকলেও এবার ৪৫তম অবস্থানে রয়েছে জো বাইডেনের দেশ।
বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদআউট বর্ডার্সের ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাদের গবেষণা প্রতিবেদন বলেছে, এবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ৯০তম হয়ে সবার ওপরে আছে ভুটান। এ ছাড়া নেপাল ৯৫, মালদ্বীপ ১০০ ও শ্রীলঙ্কা ১৩৫তম। এই তালিকায় আফগানিস্তান ১৫৬তম থেকে এবার ১৫২তম স্থানে উঠে এসেছে। আর গতবার পাকিস্তানের অবস্থান ছিল ১৫৭। এবার স্বাধীন গণমাধ্যম সূচকে সাত ধাপ এগিয়েছে এ দেশটি।
সংস্থাটির প্রকাশিত তালিকায় ১৮০তম অবস্থানে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। চীন রয়েছে ১৭৯ নম্বরে। আর ১৭৮ নম্বরে রয়েছে ভিয়েতনাম।
বরাবরের মতো এবারও গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে সবার ওপরে রয়েছে নরওয়ে। গতবার দেশটির স্কোর ছিল ৯২ দশমিক ৬৫। এবার স্কোর বেড়ে হয়েছে ৯৫ দশমিক ১৮। চার ধাপ এগিয়ে এবার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে আয়ারল্যান্ড। এক ধাপ পিছিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। চারে সুইডেন এবং পাঁচে রয়েছে ফিনল্যান্ড।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিস্থিতি ৩১টি দেশে ‘খুবই গুরুতর’, ৪২টিতে ‘কঠিন’, ৫৫টিতে ‘সমস্যাজনক’ এবং ৫২টি দেশে ভালো বা ‘সন্তোষজনক’। সাংবাদিকতার পরিবেশ প্রতি ১০ দেশের মধ্যে সাতটিতেই ‘খারাপ’ এবং মাত্র তিনটিতে সন্তোষজনক। আর গতবছর ১৬২তম অবস্থানের বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৩৬ দশমিক ৬৩। এবার সেই স্কোর হয়েছে ৩৫ দশমিক ৩১।