আশুলিয়ায় সুমাইয়া হত্যাকাণ্ডের হোতা আটক
ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার জিরাবো এলাকার চাঞ্চল্যকর সুমাইয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ মূলহোতা রাব্বিকে (৩০) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় যশোরের মনিরামপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আজ রোববার র্যাব-৪-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে যশোরের মনিরামপুর থানাধীন রহিতা শেখপাড়া এলাকায় র্যাব-৪ ও র্যাব-৬ যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে শেখ রাব্বিকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মদ আবদুর রহমান জানান, সুমাইয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন রাব্বি।
তিন বছর আগে গার্মেন্টসে কর্মরত থাকাকালীন সুমাইয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় রাব্বির। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হলে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের প্রায় দুই বছর পর তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা এবং কলহ লেগেই থাকত। ঘটনার দিন গত ১১ জানুয়ারি দুপুরে রাব্বির সঙ্গে সুমাইয়ার বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রাব্বি ক্ষিপ্ত হয়ে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামি বাসায় তালা দিয়ে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেন। আত্মগোপনে থেকে রাব্বি স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন। রাব্বির নামে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রহমান।
র্যাব জানায়, গত ১১ জানুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবো এলাকায় ইয়াকুব আলীর ভাড়াটিয়া সুমাইয়া নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে র্যাব-৪ এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। র্যাব সদস্যরা অত্যাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে মরদেহ শনাক্ত করেন। জানা যায় ভিকটিমের নাম সুমাইয়া ও তার বাবা মনির উদ্দিন। বিষয়টি সুমাইয়ার পরিবারকে জানালে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে গত ১২ জানুয়ারি আশুলিয়া থানায় রাব্বিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।