লিবিয়া থেকে ফিরে এলেন আরও ১৩৯ বাংলাদেশি
ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় লিবিয়ার বেনগাজি শহরের বিভিন্ন স্থানে আটক ১৩৯ জন বাংলাদেশিকে আজ বৃহস্পতিবার ভোর সোয়া চারটায় বুরাক এয়ারের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে বেনগাজি থেকে ঢাকায় প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
এ নিয়ে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মোট এক হাজার ২৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে লিবিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা ত্রিপোলি ও বেনগাজি শহরের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারসহ বিচ্ছিন্ন স্থানে আটক ছিলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা আজ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রত্যাবাসন করা অসহায় বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে হাত খরচ হিসেবে ছয় হাজার টাকা ও কিছু খাদ্যসমগ্রী উপহার দেয়া হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (কল্যাণ) মোস্তফা জামিল খান ফিরে আসা অভিবাসীদের খোঁজখবর নেন। তিনি অভিবাসীদের লিবিয়াতে তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা প্রতিবেশী ও আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেন। কেউ যেন টাকা খরচ করে বা দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে বিদেশে পা না বাড়ায় সে বিষয়ে পরিচিত সবাইকে সচেতন করতে অভিবাসীদের অনুরোধ করেন।
লিবিয়ায় বিপদগ্রস্তসহ বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা, আইওএম একসাথে নিরলসভাবে কাজ করছে বলেও জানান মোস্তফা জামিল খান।