বইমেলা থেকে ডিবি কার্যালয়ে মুশতাক-তিশা
অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় বারের মতো তোপের মুখে পড়েছেন খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও সিনথিয়া ইসলাম তিশা। আজ সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বইমেলা বেশিক্ষণ থাকেননি তারা। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারিও বইমেলা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তার আগে দুয়োধ্বনি উঠেছিল তাদের নামে। এরপর আর বইমেলায় যাবেন না বলে তথ্য চাউর হলে আজ ঘোষণা দিয়ে বইমেলায় প্রবেশ করেন এই দম্পতি। এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সিনথিয়া ইসলাম তিশা। কান্নারত অবস্থায় বলেন, আমাদেরকে তারা কি বাঁচতে দেবে না? কেন এমনসব কথা বলবে তারা?’ ‘আমারও ইচ্ছে করে বিভিন্ন স্টলে গিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনেক বই পড়ি, সায়েন্স ফিকশন পড়ি। কিন্তু সেই সুযোগটা পাই না। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
এরপর সেখানে বেশিক্ষণ না থেকেই বেরিয়ে মুশতাক-তিশা। পরে যান ডিবি কার্যালয়ে। ডিবির একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, আজও দুয়োধ্বনি ওঠে এই দম্পতির নামে। পরে নিরাপত্তাকর্মীদের সহযোগিতায় মেলা থেকে হন তারা। যদিও ৯ ফেব্রুয়ারি মেলা থেকে বের হওয়ার পর খন্দকার মুশতাক আহমেদ বলেছিলেন, চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে আমাকে বইমেলা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা তা নয়, আমাকে ক্রমাগত উত্ত্যক্ত করা হয়েছে। আমার বই ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। আমাকে বাজে কথা বলা হয়েছে। কটু স্লোগান দেওয়া হয়েছে। মেলার পরিবেশ রক্ষার্থেই আমরা বেরিয়ে এসেছি।
এক সাক্ষাৎকারে তিশা বলেছিন, একটা বই না পড়ে কি বলতে পারি, সেটি ভুয়া। তিনি জানান, সেদিন আমাদের একটি দাওয়াত ছিল। এজন্য আনসারদের সহযোগিতায় মেলা থেকে বেরিয়ে আসি। তিনি বলেন, আনসার সদস্যরা আমাদের প্রোটেকশন দিয়ে বের হতে সহযোগিতা করেন। কিন্তু নিউজ হয়েছে, বিতারিত করা হয়েছে। আমাদের বিতারিত করলে বাংলা একাডেমি বা প্রশাসন করবে। কিন্তু তারা কি তা করেছে?
যদিও আজ এই দম্পতি কেন বেরিয়েছেন, তা জানা যায়নি। তবে, সেদিনের মতো আজও নানা কটূক্তি মিশ্রিত স্লোগান চলছিল মেলা প্রাঙ্গণে।