নারীকে মারধর, মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ
নওগাঁর রাণীনগরে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নারীসহ তিনজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পারইল ইউনিয়নের কামতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় প্রতিপক্ষের লোকেরা হাঁসুয়া দিয়ে মোছা. রোজিনা আক্তার (৩৬) নামে এক নারীর মাথার চুলও কেটে দিয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত রোজিনা আক্তার ও তাঁর মেয়ে ফারজানা আক্তার রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতেই পাঁচজনের নামে রাণীনগর থানায় মামলা হয়েছে।
রোজিনা আক্তারের পরিবারের অভিযোগ, পারইল ইউনিয়নের কামতা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আজাদুল ইসলামের নেতৃত্বে তাঁর ছেলে সামিউল ইসলাম সাকিবসহ চার-পাঁচজন রোজিনা আক্তার ও তার মেয়ে মোছা. ফারজানা আক্তার এবং তার ভাই মো. ওয়াসিম হোসেনকে রড, শাবল ও লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এ সময় হাঁসুয়া দিয়ে রোজিনা আক্তারের মাথার চুল কেটে দেন তাঁরা।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামতা গ্রামের ওয়াসিম হোসেনের পরিবারের সঙ্গে জায়গা-জমির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের চয়েন উদ্দীন চানের বিরোধ চলে আসছে। গতকাল সকালে চয়েন উদ্দীন চান আমিন নিয়ে এসে জায়গার সীমানা নির্ধারণ করছিলেন। এ সময় ওয়াসিমের পরিবার জায়গা-জমির স্থায়ী সমাধান চায়। এমতাবস্থায় চান ও সাবেক ইউপি সদস্য আজাদুল ইসলাম তাদের পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে সাবেক ইউপি সদস্য আজাদুল ইসলামে নেতৃত্বে তাঁর ছেলে সাকিব হোসেনসহ চার-পাঁচজন মিলে ওয়াসিম হোসেনকে রড, শাবল ও লাঠি দিয়ে মারধর করতে থাকেন। এ সময় ওয়াসিমের বোন রোজিনা ও ভাগ্নি ফারজানা ওয়াসিমকে রক্ষা করতে গেলে তাঁদেরও মারধর করেন তাঁরা। এ সময় রোজিনার মাথার চুলও কেটে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মো. ওয়াসিম হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চানের সঙ্গে জমি নিয়ে আমাদের পরিবারের বিরোধ চলে আসছে। গতকাল চান জমিতে আমিন নিয়ে এলে ওই সব জায়গার আমরা স্থায়ী সমাধান চাই। এ সময় তারা আমার পরিবারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকেসহ পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। এ সময় তারা আমার বোন রোজিনার মাথার চুলও কেটে দেয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে আমরা থানায় মামলা করেছি।’ ওয়াসিম হোসেন দ্রুত মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ইউপি সদস্য আজাদুল ইসলাম সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বরং অভিগোকারীরাই আমার স্ত্রীসহ কয়েকজনকে মারধর করেছে।
এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ওবায়েদ বলেন, এ ঘটনায় থানায় গতকাল সোমবার রাতে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।