২৫ টন চিনি মজুদ, আড়াই লাখ টাকা জরিমানা
আসন্ন রমজানের জন্য ২৫ টন নিম্নমানের চিনি মজুদ করায় মানিকগঞ্জ শহরের এক ব্যবসায়ীকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়। আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানায়, এই চিনি আসন্ন রমজানে অধিক মুনাফার উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছিল। প্রসিদ্ধ একটি ব্যান্ডের মোড়কে বাজারজাত মজুদ করা হতো।
জেলা শহরের দুধবাজার এলাকায় এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।
জরিমানার শিকার ব্যবসায়ীর নাম মাসুদ খান। তিনি জেলা শহরের দুধবাজার এলাকায় মেসার্স আল মাসুদ জেনারেল স্টোরের মালিক।
ভোক্তা অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় নিম্নমানের এই চিনি প্রসিদ্ধ একটি কোম্পানি নামে মোড়কজাত করতে ব্যবসায়ী মাসুদ খান মজুদ করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বিকেলে দুধবাজার এলাকায় এই প্রতিষ্ঠানের গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ভারতীয় নিম্নমানের এই মোটা চিনি প্রতিষ্ঠিত একটি ব্র্যান্ডের ৫০০ বস্তায় মজুদ করা অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে চিনি ছিল।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এবং জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতারের নির্দেশনায় ব্যবসায়ী মাসুদকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের সময় সহযোগিতা করেন জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক সামছুন্নবী তুলিপ ও সদর থানার পুলিশ।
আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, আসন্ন রমজান মাসে অধিক মুনাফার উদ্দেশে নিম্নমানের এসব চিনি মোড়কজাত করে বিক্রির জন্য এই ব্যবসায়ী তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গুদামে মজুদ করেছিলেন।
আসাদুজ্জামান রুমেল আরও বলেন, ভারতীয় এসব চিনি চোরাই পথে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা বাজারের মেসার্স মাহবুব ট্রেডার্স থেকে আনা হয়।