নিত্যনতুন পন্থায় বাড়ছে ছিনতাই, এবার ‘বমিচক্র’
বাসে যাত্রী হয়ে উঠে পড়েন তারা। পরে তৈরি করেন কৃত্রিম জটলা। এরপর নির্দিষ্ট একজনকে করেন টার্গেট। প্রথমে কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর একজন তার ওপর বমি করে দেন। ফলে পরিচ্ছন্নতায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন যাত্রী। তৈরি হয় সুযোগ। যাত্রীর ব্যাগ থেকে মূল্যবান জিনিস হাতিয়ে নিয়েই চম্পট। এভাবেই ছিনতাইয়ে নিত্যনতুন পরিকল্পনার সঙ্গে যোগ হয়েছে এই বমিচক্র।
রাজধানী ঢাকায় দিনদিন যখন বেড়ে চলেছে ছিনতাই, আর এই ছিনতাইয়ে যখন যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন কৌশল, তখন মিলল এই বমিচক্রের সন্ধ্যান। গতকাল শুক্রবার তেজগাঁও থানার ফার্মগেট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে থেকে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে এ চক্রের দুই সদস্য।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—সুমন আল হাসান (২৯) ও মো. আবুল হোসেন (৪০)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান মহসিন।
মোহাম্মদ মহসিন জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বাসের ভেতর যাত্রীর উপর বমি করে বিশেষ কৌশলে টাকা ছিনতাই করেন। তাদের সঙ্গে কিছু গাড়ি চালক ও হেলপার জড়িত। ছিনতাই করা টাকার একটি অংশ তাদেরও দিতে হয় বলে দাবি করেন গ্রেপ্তার দুজন।
মোহাম্মদ মহসিন আরও জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ঢাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তাদের গ্রুপে মোট পাঁচজন সদস্য রয়েছে। ছিনতাইয়ের সময় যদি তাদের কাউকে অন্য কেউ দেখে ফেলে বা ধরে ফেলে তখন বাকি সদস্যরা দেখে ফেলা ব্যক্তিকেই ছিনতাইকারী বলে মারধর করেন এবং পালিয়ে যান। ধরা খেলে বাকি সদস্যরা ছুরির ভয় দেখিয়েও পালিয়ে যান।
মহসিন জানান, এই চক্রের সদস্যরা নিয়মিত বাসে এই কাজ করেন। ফলে বেশ কিছু ড্রাইভার ও হেলপার তাদের চেনেন। এসব ড্রাইভার ও হেলপার তাদের সহযোগিতা করে এবং নিরাপদে বিভিন্ন স্থানে নামিয়ে দেয়। বিনিময়ে তাদেরও নির্দিষ্ট একটি ভাগ দেয় এসব ছিনতাইকারীরা।