খতনা করাতে গিয়ে আয়হামের মৃত্যু, দুই চিকিৎসকের জামিন না মঞ্জুর
সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে মারা যাওয়া শিশু আহনাফ তাহমিন আয়হামের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জে এস হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই দুই চিকিৎসকের জামিন না মঞ্জুর করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এএমএম খাইরুল আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি খতনা করার সময় রাজধানীর মালিবাগে জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে জেনারেল অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগের কারণে আয়হামের মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। শিশু আহনাফ তাহমিন আয়হাম মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। এরপর ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ছাড়া সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ডা. এস এম মুক্তাদির ও ডা. মাহবুব।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে আহনাফের বাবা-মা তাকে খতনার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেন। অস্ত্রোপচারের জন্য রাত ৮টার দিকে আহনাফকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পর খবর আসে আহনাফ মারা গেছে।
আহনাফের বাবা ফখরুল আলম বলেন, ‘আমি চিকিৎসককে সম্পূর্ণ অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহার না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছিলাম। আমার সতর্কতা সত্ত্বেও ডা. মুক্তাদির ফুল অ্যানাস্থেসিয়া দিয়েছেন। অ্যানাস্থেসিয়া প্রয়োগের পর আহনাফের আর জ্ঞান ফেরেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘খতনার জন্য ফুল অ্যানাস্থেসিয়া দেওয়া কেন জরুরি ছিল? এর আগেও এটি ব্যবহারের কারণে আরও একটি ছেলে মারা গিয়েছিল। এ কারণেই আমি ডাক্তারের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, তাকে ফুল অ্যানাস্থেসিয়া না দেয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমার অনুরোধ রাখেননি।’
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফুল অ্যানেস্থেসিয়া নিয়ে খতনা করার পর আয়ান নামে পাঁচ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। আয়ানের বাবা মো. শামীম আহমেদ অভিযোগ করেন, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় চিকিৎসাজনিত অবহেলায় তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।