প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মারা গেছেন
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ইহসানুল করিম হেলাল ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কিডনিসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগেছিলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রোববার (১০ মার্চ) রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সবশেষ ২০২২ সালের ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান ইহসানুল করিম। তিনি ২০১৫ সাল থেকে সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে কাজ করছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে, তিনি রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ২০০৯-২০১৩ সালে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বাসসে তিনি ১৯৭২ সালে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন।
ইহসানুল করিম তার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে বিবিসি (ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন) ও পিটিআই (প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া)-সহ কয়েকটি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন।
জাতির পিতার উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দেন এবং বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স (বিএলএফ)-এর সদস্য হিসেবে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেন।
ইহসানুল করিম কুষ্টিয়া জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি বাসস এর নয়াদিল্লি সংবাদদাতা হিসেবে ভারতে ৫ বছর কাজ করেন। ইহসানুল করিমের সহধর্মিণীর নাম মমতাজ শিরিন করিম। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
আগামীকাল সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ইহসানুল করিমের প্রথম জানাজা এবং বেলা ১টায় বনানীতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।