স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার নভোএয়ারের গাড়িচালক রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ফাইল ছবি

হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল (৫১) ও রিসিভার কামাল হোসেনের (২৯) তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার (১৭ মার্চ)  ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক এই আদেশ দেন। 

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নথি থেকে জানা গেছে, গতকাল শনিবার হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ তাদের গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। যার ওজন চার কেজি ৬৪০ গ্রাম (প্রায়) আর বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। 

গ্রেপ্তার হেলালের বাবার বাড়ি নোয়াখালীর বসুরহাট থানার চরকাগা গ্রামে আর রিসিভার কামাল হোসেন চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার দক্ষিণ বগুলা গ্রামে। 

এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়। এজাহার থেকে আরও জানা গেছে, শাহজালালে স্বর্ণের চোরাচালান প্রতিরোধে এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও এনএসআই। নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল অন্যান্য দিনের মতো শনিবার ডিউটিতে আসেন। এরপর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেট দিয়ে বের হন। এরপর এপিবিএন ও এনএসআইয়ের গোয়েন্দা সদস্যরা হেলালকে নজরদারিতে রাখেন। এ সময় তাকে ডমিস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ সিএনজিতে উঠতে দেখা যায়। এরপর বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা সিএনজির গতিরোধ করেন এবং তাদের এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসেন। পরে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পর রিসিভার কামাল হোসেনের সঙ্গে থাকা কাঁধ ব্যাগের ভেতর থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৪০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার ওজন চার কেজি ৬৪০ গ্রাম (প্রায়) আর বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।