জামিনে মুক্তি পেলেন সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার কাজল
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র মারামারির ঘটনায় করা মামলায় মুক্তি পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে কেরাণীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রচার সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান খান। এর আগে বুধবার (২০ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে স্থায়ী জামিন দেন।
এর আগে গত সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোরশেদ আলমের আদালতে ব্যারিস্টার কাজলের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। এরপর তার পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়। গত ১৮ অক্টোবর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বাড্ডা থানায় দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক রিপন মিয়া। তাদের মধ্যে দুলুকে কারাগারে আটক এবং অপর ১১ আসামির প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ওই আদেশ দেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, ১৭ অক্টোবর বাড্ডা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে বাড্ডা থানাধীন বৈঠাখালী ৩০ ফিট রাস্তার মাথায় গ্রিন টাওয়ারের নিচতলায় কিছু সংখ্যক লোক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য সমবেত হওয়ার খবর পায় পুলিশ। রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে ওই স্থানে পৌঁছামাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এ আসামিরাসহ এজাহারনামীয় পলাতক ও অজ্ঞাত আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে এসআই মানিক কুমার সিকদার গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এএসআই আল মামুন পারভেজ ও কনস্টেবল মোতাহার হোসেনসহ সঙ্গীয় অন্যান্য অফিসারদের এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থান জখম করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, ঘটনাস্থলে তারা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আহ্বানে সমবেত হয়েছিল। তারা আরও স্বীকার করে, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে দেশে অরাজকতার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টসহ সরকার পতনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক লোক ঢাকায় সমবেত করে।