মেঘনায় ভ্রমণতরীডুবি : আরও তিন মরদেহ উদ্ধার
মেঘনা নদীতে ভ্রমণতরীডুবির ঘটনায় আরও তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। আজ রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেঘনা রেল ও সড়কসেতুর আশপাশ এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা মরদেহগুলো হলো কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী এলাকার রূপা দে (৩২), নরসিংদীর বেলাবো এলাকার আনিকা আক্তার এবং পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার শিশুকন্যা মাহমুদা বেগমের (৮)। উদ্ধারের পর মরদেহগুলো ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয় পুলিশ।
এখনও নিখোঁজ আছেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা, তাঁর শিশুপুত্র রাইসুল (৫) ও ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার বেলন চন্দ্র দে।
এর আগে গতকাল শনিবার দুজন ও দুর্ঘটনার দিন (শুক্রবার) একজনসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁরা হলেন শহরের কমলপুর এলাকার সুবর্ণা বেগম (২০), আমলাপাড়া এলাকার চন্দন দের শিশুকন্যা মেঘলা দে আরাদ্ধ (১২) এবং ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৫)।
গত শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরসোনারামপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ভৈরব থেকে ২০ যাত্রী নিয়ে একটি ভ্রমণতরী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর এলাকায় একটি বালুবাহী বলগেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন জানান, আজ রোববার সকাল থেকে চেষ্টা চালিয়ে ডুবে যাওয়া ভ্রমণতরীটি চরসোনামপুর চরের তীরবর্তী স্থানে উঠানো হয় দুপুর ১২টা নাগাদ। কিন্তু সেটিতে তখন কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।
পরে ট্রলারটি নিয়ে আসা হয় মেঘনার ভৈরবপাড়ে। এরপর উদ্ধারকর্মীরা মেঘনার ভৈরব, আশুগঞ্জ, রায়পুরা ইত্যাদি এলাকায় টহলযান নিয়ে নিখোঁজদের মরদেহগুলো উদ্ধারে অনুসন্ধান চালান। পরে বিকেলে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বাকিরা উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।