বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে অসুখের, অধঃপতন হচ্ছে সুখের : জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, বিশ্বের ১৪৩টি দেশের মধ্যে এবার সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯ তম। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৮তম এবং ২০২২ সালে এই অবস্থান ছিল ৯৪। বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে অসুখের অধঃপতন হচ্ছে সুখের । আজ সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে জি এম কাদের একথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ২০২২ সালে সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ পিছিয়েছে ২৪ ধাপ হয়েছে। আর ২০২৩ সালে ১১ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। সুখী দেশের তালিকায় দুই বছরে বাংলাদেশ পিছিয়েছে ৩৫ ভাগ। সুখ থেকে আমরা কতটা পিছিয়ে যাচ্ছি তা এই রিপোর্ট থেকেই প্রমাণ হয়। তিনি বলেন, এই রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবেশী নেপাল ৯৩, পাকিস্তান ১০৮, মিয়ানমার ১১৮, ভারত ১২৬ ও শ্রীলঙ্কা ১২৮তম স্থানে। প্রতিবেশী সব দেশের থেকেই পিছিয়ে আছি আমরা। স্বাভাবিক কারণে, আফগানিস্থান ১৪৩তম হয়ে সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে, যেভাবে অধঃপতন হচ্ছে এ রকম চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই আমরা সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসাবে গন্য হতে পারি, আশঙ্কা আছে।
জি এম কাদের বলেন, সুখের অভাব হয় দেশের মানুষের যখন সুশাসনে অভাব হয়। সুশাসনের অর্থ আইনের শাসন এক কথায় আইনের চোখে সকলেই সমান। দ্বিতীয় বিষয়টি সামাজিক ন্যায় বিচার ভিত্তিক সমাজ বা বৈষম্যহীন সাম্যের ভিত্তিতে চলা দেশ। এই দুইটি সম্ভব হয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার, গণতন্ত্রের বা জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। কেননা এ পদ্ধতিতেই শুধুমাত্র সব স্থরের সব ধরনের জনগণ জবাবদিহিতার আওতায় থাকে। বর্তমান দেশে গণতন্ত্রের চর্চা নেই। সরকারকে জবাবদিহিতা করার কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই। ফলশ্রুতিতে, দেখা যাচ্ছে সার্বিকভাবে দেশে প্রায় সকল পর্যায়ে জবাবদিহিতার অভাব। স্বজনপ্রীতি আর দলীয়করণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। সুশাসন নেই কোথাও। একারণেই দেশের মানুষ তার প্রাপ্য অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে। তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ আসন পর্যন্ত কোথাও জবাবদিহিতা নেই। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়না, তাই বেড়েই চলছে অনিয়ম আর দুর্নীতি। আমরা সে উন্নয়ন চাই না, যার কারনে অ-সুখের উন্নতি হয়। আমরা সেই উন্নয়ন চাই যাতে সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ হয়।