সন্ত্রাস দমনে আমাদের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে : আইজিপি
‘সন্ত্রাস দমনে সরকারের সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে। আমাদের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। কোনো দুষ্কৃতকারীর এটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতার কোনো ঘাটতি আছে’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুটের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আইজিপি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেও ঘোষণা দেন আইজিপি।
আইজিপি বলেন, আমরা সতর্ক ছিলাম। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। লুট করা অস্ত্র উদ্ধার এবং অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো ট্রলারেন্স নীতি কার্যকরে কাজ করছে পুলিশ। সরকারের পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নানামুখী প্রদক্ষেপ চলমান রয়েছে।
পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) গতকাল মঙ্গলবার রাতে রুমায় ব্যাংক লুটের পর আজ দুপুরে থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংক লুট করেছে। আজ দুপুর ১টায় থানচি বাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলো ঘেরাও করে ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা এবং কৃষি ব্যাংক থেকে দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে ১৫টি মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক লুট করে কেএনএফের একটি গ্রুপ। একদিনের ব্যবধানে দিন-দুপুরে থানচি উপজেলা বাজারে অবস্থিত সোনালী ও কৃষি ব্যাংক লুট করে কেএনএফের আরেকটি গ্রুপ।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সব ব্যাংকে লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন জানান, ঘটনার পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বিবেচনায় ব্যাংকিং কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনী অভিযানে নেমেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জানে আলম ও সাগ্যচিং মারমা অভিযোগ করে বলেন, চারদিক থেকে হঠাৎ করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পোশাক পরিহিত ৩০ থেকে ৩৫ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা থানচি বাজার ঘেরাও করে। ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক ছড়িয়ে বাজারের লোকজনের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হানা দিয়ে সব টাকা লুট করে নিয়ে যায়।