সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন ও শহীদুল গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে
রাজধানী থেকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও এ কে এম শহীদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাদের গ্রেপ্তার করে। ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরপর আজ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গ্রেপ্তারের পর দুই সাবেক আইজিপিকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে আজ সকালে আদালতে তোলা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আবদুল্লাহ আল-মামুনের ৮ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এ ছাড়া হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল হক সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর গত মাসে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাবেক এই পুলিশপ্রধানদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাওয়ার পর থেকে তারা আত্মগোপনে ছিলেন।
শহীদুল হক ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কর্মজীবন শুরু করেন। কয়েক বছর ধরে তিনি চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি পুলিশ সদর দপ্তর, রাজশাহী রেঞ্জ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জে উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
শহীদুল হক ডিএমপির পুলিশ কমিশনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন এবং বাহিনীতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি অবসরে যান। শহীদুল হকের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নরবলাখানা গ্রামে।
অপরদিকে, বাংলাদেশের ৩১তম আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।