ঢাকায় ১৮৪ ঈদগাহ ও ১৪৮৮ মসজিদে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
রাজধানী ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহ ময়দান ও ১ হাজার ৪৮৮টি মসজিদের প্রতিটিতে আলাদা নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হাবিবুর রহমান এসব কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতকে কেন্দ্র করে এবার ঢাকার কোনো মসজিদ বা ঈদগাহ ময়দান অর্থাৎ যেখানেই ঈদের নামাজ হবে, সেটি নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘ঈদের প্রধান জামায়াতের নিরাপত্তার জন্য পাঁচ স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকায় এসবির ইকুইপমেন্ট দ্বারা সুইফিং করা হবে। ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইফিং করা হবে। এ ছাড়া পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ, ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমাদের ইউনিফর্ম পুলিশের অন্তবেষ্টনী ও বহির্বেষ্টনী রয়েছে, সেখানে মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। ইউনিফর্ম পুলিশ ছাড়া ডিবি, এসবি ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। সেখানে নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আটটি রাস্তায় ডাইভারশন ব্যবস্থা রয়েছে। যাঁরা নামাজ পড়তে আসবেন, তাঁরা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আসতে পারেন। কোনো রকম হয়রানি ছাড়া যাতে নামাজ আদায় করতে পারেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, জাতীয় ঈদগাহে নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ও সেখানে নারী-পুলিশের মাধ্যমে তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ঈদগাহ মাঠে ফায়ার সার্ভিসের মেডিকেল টিম থাকবে। ডিএমপির সোয়াত টিম, বোম ডিসপোজাল টিম থাকবে। কেউ কোনো দাহ্য পদার্থ, ধারালো বস্তু বা বিস্ফোরকজাতীয় বস্তু নিয়ে জামাতে আসবেন না। কোনো সমস্যা দেখা দিলে পুলিশকে ৯৯৯ নম্বরে কল করবেন। স্থানীয় থানাকে অবহিত করুন। তাড়াহুড়া করে বের হতে গিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতেও অনুরোধ জানাচ্ছি।