সরকারি খরচে ৩০৪৮ মামলায় আইনি সহায়তা প্রদান
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে সরকারি খরচে তিন হাজার ৪৮টি মামলায় আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের অধীনে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে আইনি সহায়তা দেয়া মামলার সংখ্যা ৩০৪৮টি। এর মধ্যে নিস্পত্তি হয়েছে ২২১৫টি। এসব মামলায় উপকারভোগী ২৬ হাজার ৯৩৮ জন। আইনি পরামর্শ সেবা পেয়েছেন ২৩ হাজার ৮৯০ জন।
জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার (লিগ্যাল এইড) মাধ্যমে সরকারি খরচে ২০০৯ সাল থেকে নভেম্বর-২০২৩ পর্যন্ত আইনি সেবার তথ্য সংস্থাটি প্রকাশ করেছে।
দেশে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগনকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রনয়ন করা হয়। ২০০০ সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপরের সরকারগুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্টিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামীলীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
দেশের সকল আদালত, সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে ’লিগ্যাল এইড’এখন দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থীদের নিকট ভরসাস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে সংস্থাটি জেলা পর্যায়ে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্ট, শ্রম আদালতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পায়। সুপ্রিম কোর্টে ২০১৫ সালে ‘লিগ্যাল এইড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে ‘সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস’ স্থাপিত হয়েছে। এর কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন। বিচারপ্রার্থীদের আইনগত সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের জন্য সুনির্দিষ্ট আইনজীবী প্যানেল রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি বিভিন্ন সভা, সেমিনার, মতবিনিময় ও কমিটির নিয়মিত সভা করছে।