শরীয়তপুরে আদালত থেকে হত্যা মামলার আসামির পলায়ন
শরীয়তপুরে মোহাম্মদ আলী হত্যা মামলার আসামি বাবু ফকির আদালত থেকে পালিয়ে গেছেন। গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে শরীয়তপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালত এজলাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি জানান, আসামি বাবু ফকির (২৫) শরীয়তপুর সদর উপজেলার পূর্ব কোটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দুপুরে হত্যা মামলার আসামি মুন্নি বেগম ও বাবু ফকিরকে পালং মডেল থানা থেকে শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতে আনা হয়। আসামিদের বুঝে নেয় কোর্ট পুলিশ। এরপর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে এজলাসের সামনে থেকে পুলিশ সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যান আসামি বাবু ফকির।
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতের এজলাসের সামনে থানা ও কোর্ট পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন আসামিরা। এ সময় বাবু ফকির নামে এক আসামি পালিয়ে গেছে।’
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ এপ্রিল রাতে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া রাড়ীকান্দি গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিন ফকিরের ছেলে মোহাম্মদ আলী মাদবর নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পরদিন সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া মাদবরের বাড়ির সামনের পুকুর থেকে মোহাম্মদ আলী মাদবরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৬ এপ্রিল কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে পালং মডেল থানায় মামলা করেন নিহতের বড় ভাই কেরামত আলী মাদবর। এ মামলায় পুলিশ বাবু ফকির ও নিহতের স্ত্রী মুন্নি বেগম সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদার ও তার সঙ্গীদের কাছে তুলে দেন বলে স্বীকার করেন মুন্নি বেগম। পরে তাকে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাবু ফকিরকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘একজন আসামি পালিয়ে গেছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।’