থাইল্যান্ডের সঙ্গে সহযোগিতার নতুন দুয়ার খুলেছে : প্রধানমন্ত্রী
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/05/02/prdhaanmntrii_0.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, থাইল্যান্ড সফরে কী পেলাম সেটা বিষয় নয়। তবে এতটুকু বলতে পারি থাইল্যান্ড সফরে আমাদের সাথে সহযোগিতার নতুন দুয়ার খুলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদনে, কৃষি উৎপাদনে তাদের গবেষণা রয়েছে। এছাড়া পর্যটন ব্যবসায় তাঁরা অনেক এগিয়ে রয়েছেন। আমাদের দেশে কক্সবাজার সুমদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে থাইলান্ডের সাথে আমাদের নতুন সম্পক তৈরি হবে বলে মনে করি। কেননা থাইল্যান্ড ব্যবসা-বাণিজ্যর ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে। তাই বলতে পারি আমাদের সাথে এই সফরে থাইল্যান্ডের সাথে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ২৯ এপ্রিল সকালে ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়াও, তিনি ব্যাংককের জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।