আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় বসাতে চায় তারা, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
দেশের বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের বামপন্থি দলগুলো আমাকে উৎখাতের আন্দোলন করছে। অতি বামদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা আমাকে উৎখাত করে কাকে ক্ষমতায় আনবে? তারা কি একবার এটা ভেবে দেখেছে? আর আমার অপরাধটা কী?
প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাম্প্রতিক থাইল্যান্ড সফরের ফলাফল নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বামরা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। তারা এখন আমাদের এখানে আন্দোলন করছে। আমি বলে দিয়েছি, তারা আন্দোলন করছে, করুক। অথচ আমি চাইলে আমেরিকার স্টাইলে পুলিশ দিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দিতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর ২৮ অক্টোবর আমাদের দেশে আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের পুলিশ এগুলো ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছি। জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে, এটাই আমাদের বড় শক্তি। তবে কেউ কেউ চেয়েছিল, নির্বাচন যাতে না হয়। নির্বাচন না হলেই তারা খুশি হতো। যারা ভোটের অধিকার হরণ করেছিল, তারাই এখন ভোটের অধিকারের কথা বেশি বলে। অথচ আমরাই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি।’
থাইল্যান্ডে ছয় দিনের সরকারি সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ২৯ এপ্রিল ব্যাংকক থেকে দেশে ফিরেছেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।
পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানি সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।