ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে অনিয়ম তদন্তে দুদক টিম
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক সংস্কার ও নির্মাণকাজে নিম্নমানের বিটুমিনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার ( ৮ মে) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহের একটি দল সরেজমিন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ পরিদর্শন করে।
এ সময় সড়কে ব্যবহার করা পিচ ও পাথর পরীক্ষা করে তারা। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের বিটুমিনের ব্যবহার ও অন্যান্য অনিয়মের ফলে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বেশ কিছু স্থানে পিচ-পাথর জমাট বেঁধে উঁচু ঢিবিতে পরিণত হয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে সরেজমিন সড়কটি পরিদর্শন করা হয়।
এ সময় দলের সদস্যরা ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ অংশের ১৫ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন অংশে পিচ-পাথর জমাট বেঁধে উঁচু ঢিবি দেখতে পান। চার সদস্যের দলের প্রধান সম্মিলিত জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান ক্যামেরার সামনে কথা না বললেও তিনি জানান, সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত সব উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ল্যাব টেস্টের জন্য ঢাকায় স্যাম্পলগুলো পাঠানো হবে। রাস্তা নির্মাণে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আসাদুজ্জামান আরও জানান, অভিযানের আগে ঝিনাইদহ সড়ক ভবনে যাওয়ার পর কাউকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাচন থাকায় কেউ অফিসে ছিলেন না বলে জানান সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান।
এদিকে দুদকের দল যখন সড়কটি পরিদর্শন করে, তখন দেখা যায়, বিষয়খালী তেঁতুলতলা খড়িখালী এলাকায় সড়কের রোলার ও কাটার যন্ত্র দিয়ে সড়কের পিচ-পাথর জমাট হয়ে উঁচু ঢিবি সমান করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন সড়কের ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ অংশে নিয়োগ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের প্রজেক্ট ম্যানেজার সাখাওয়াত বেগ জানান, রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্মাণ ও সংস্কার করেছে। বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই পিচ-পাথর জমাট বেঁধে উঁচু ঢিবি তৈরি হয়েছে। এখন যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত ক্ষতিগ্রস্ত অংশে ঢিবিগুলো সমান করা হচ্ছে।
সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ অংশের পৃথক পৃথক ভাবে ছয় কিলোমিটার সংস্কার করা হয়। সংস্কারকাজ চলমান অবস্থায় সড়কের নানা স্থানে ফাটল দেখা দেয়। মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ঢাকাকে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু কাজটি ওই প্রতিষ্ঠান করেনি। স্থানীয় ঠিকাদার মো. মিজানুর রহমান (মাসুম) কাজটি করেন।