বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানটি উদ্ধারের পর হস্তান্তর
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমান কর্ণফুলী নদী থেকে দীর্ঘ নয় ঘণ্টা অভিযানে উদ্ধারের পর বিমান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা টার্মিনালের কাছে নদীর বয়া এলাকা থেকে প্রশিক্ষণ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করে নৌ-বাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ বিএনএফসি বলবান।
বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমান উদ্ধারে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি নৌবাহিনীর বিশেষায়িত সাইড স্কেনিং সোলার, ক্রেনবাহী জাহাজ ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল সোয়াটস সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন। এটি উদ্ধারের পর বিমান বাহিনীর সদস্যরা বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের খুঁটিনাটি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন।
নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তারা নেভাল এভিয়েশনের কমোডর মীর মো. নাঈম রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পড়ে যাওয়ার পর থেকে নৌবাহিনী কাজ শুরু করেছে। জোয়ার-ভাটাসহ খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারে কিছুটা সময় নিলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার কাজ শেষ করতে পারায় সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।
এর আগে বিএফ জহুরুল হক ঘাঁটিতে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিমান বাহিনী, সেনা ও নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। এসময় নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদের বাবা ডা. মো. আমান উল্লাহ তাঁর একমাত্র ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
বিমান বাহিনীর ইন্স্ট্রাক্টর এসএম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিমানটি উড্ডয়নের পর প্রশিক্ষণের এক পর্যায়ে বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। বৈমানিকগণ দক্ষতার সাথে বিমানটি নিয়ন্ত্রণে আনেন। দুই পাইলট উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ এসময় নিরাপদ অবতরণের প্রচেষ্টা চালান। আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার কারণে বৈমানিকগণ যথা সম্ভব জানমালের ক্ষতি এড়িয়ে জরুরি প্যারাসুটের মাধ্যমে অবতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এরই ফলশ্রুতিতে বৈমানিকগণ সাহসিকতা ও দক্ষতার সাথে কর্ণফুলী নদীর ওপর জরুরি প্যারাসুটের মাধ্যমে অবতরণ করেন। বিমানটি লোকালয় ও জনবসতির কোন ক্ষতি না করে কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়।