সাংবাদিকের ওপর হামলায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দৈনিক মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি গোলজার হোসেনের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।
আজ শনিবার (১১ মে) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের আয়োজনে সংগঠনটির কার্যালয়ের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত অর্ধ শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ স্বচ্ছ করার জন্য যখন দেশের সব বিভাগ ঐক্যবদ্ধ তখন সাংবাদিকরাও তাদের দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। কিন্তু এত আয়োজনের মধ্যেও ভোটকেন্দ্র দখলে নেওয়ার উদ্দেশে হোসেন্দি ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু, তার ভাই সরকারি কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হক তপন ও তাদের ভাতিজা তানভির হক তুরিন ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার ওপর হামলা করেন। সেই দৃশ্য ধারণ করায় মিঠু গং সাংবাদিক গোলজার হোসেনকে অবরুদ্ধ করে তাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় মামলা হলে দুই দিনেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সাংবাদিকরা বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে এত কিছু ঘটে গেলেও তাদের আচরণ ছিল বিস্ময়কর।
ঘটনার সময় ওই ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত সব পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার দাবি করেন সাংবাদিকরা।
এসময় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাংবাদিকরা বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কীভাবে মিঠুর ভাই গাজীপুর আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইকবাল হক স্বপন নির্বাচনে কোন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেন এবং কেন্দ্র দখলের উদ্দেশে পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলা করেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
গত ৮ মে গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন হোসেন্দী ইউনিয়নের ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ও হোসেন্দি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও ব্যালটপেপার ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে পরদিন (৯ মে) পৃথক দুটি মামলা রুজু হয় গজারিয়া থানায়।