আ.লীগ দেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে : মঈন খান
সরকার এ দেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, অর্থনৈতিক অবস্থা ভঙ্গুর করে দিয়েছে তারা। দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি আর নেই। এখন আছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। সংঘাতের রাজনীতি।
আজ শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে সদ্য কারামুক্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর বাসায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দিতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. মঈন খান বলেন, ‘নির্বাচনের আগে যে কথা বলেছিল যুক্তরাষ্ট্র, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে। এখন সরকার যদি ভাবে যে, মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে, তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, এটা সরকারের ভুল ধারণা।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, মানুষের অধিকার একটা চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা। মানুষের অধিকার যদি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত না হয়, দেশ সৃষ্টির পেছনে যে আদর্শ ও উদ্দেশ্য ছিল তা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।’
ড. মঈন খান বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, আটকের একটি মাত্র উদ্দেশ্য হলো- এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দিবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার অধিকার হরণ করেছে। যারা বা যে প্রতিষ্ঠানগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করে থাকে, যেমন, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ- সরকার সে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে বিরোধীদলকে দমন-নিপীড়ন করছে। সরকার জানে, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া হয় তাহলে এ দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতির আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে। এ জন্য তারা বিরোধীদলগুলাকে কথা বলতে দিচ্ছে না। সুষ্ঠু নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে।’
এ সরকারের কোনো ভিত্তি নেই জানিয়ে ড. মঈন খান বলেন, ‘এ দেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার শঙ্কিত ও ভীত। এজন্য সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মঈন খান বলেন, ‘ভবিষ্যৎ বলে দিবে এ সরকারের পরিণতি কি হবে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কী পরিণতি হয়। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।’ দুষ্টু চক্রের রাজনীতি থেকে সরকারকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের পথে হাঁটবেন। এটা শুধু আপনাদের জন্যই নয়, জনগণের জন্যও মঙ্গলজনক।’