এমপি আনারকে হত্যার পর কী ঘটেছিল, জানাল ডিবি
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে ভারতের কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর তার মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। টুকরো মাংসগুলো দুটি ব্যাগে ভরে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। বাকি থাকা মাংসগুলো পলিথিনে ভরে বের করা হয়। তবে, বের করার আগে মাংসগুলোতে মাখানো হয় হলুদ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ বর্ণনা দেন।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ১৩ মে ২টা ৫১ মিনিটে তারা সবাই ওই ফ্ল্যাটে ঢোকে। আধা ঘণ্টার মধ্যে এ নৃশংস-বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। এর আধা ঘণ্টা বা এক ঘণ্টা পরেই এদের মধ্যে একজন বাইরে বের হয়ে যায়। বাইরে গিয়ে ভুক্তভোগীর মোবাইলটা অন করে কথা বলা হয়। অর্থাৎ, ডিভাইসটাকে তারা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করে। সেখান থেকে আবার বাইরে আসে।
হারুন অর রশীদ বলেন, এটা বলা আমাদের জন্য কঠিন ব্যাপার। তাদের প্লানটা ছিল এরকম, একদিকে তারা বিদেশের মাটিতে হত্যা করবে। মরদেহটাকে এমনভাবে গুম করা হবে, যেন কেউ কোনোদিন খুঁজে না পায়। যার কারণে তারা মরদেহকে বিভিন্ন অংশে ভাগ করে ফেলে। অর্থাৎ, হাড্ডি থেকে মাংস আলাদা করে ফেলে। পরে সেগুলো একটি গ্রে কালারের স্যুটকেসে করে চরমপন্থি নেতা আমানুল্লাহ আমান ও জাহিদ বা জিহাদ, পাবলিক টয়লেটের কাছে একটি গাড়ি অপেক্ষা করছিল; সেখানে যান। সেখান থেকে চরমপন্থি নেতা আমানুল্লাহ আমান ওই ফ্ল্যাটে চলে আসেন। তারপর জাহিদ আর ড্রাইভার সিয়াম স্যুটকেস নিয়ে চলে যায়। সিয়াম জানেনও তাতে কী ছিল। পরেরদিন আমানসহ তিনজন বাকি মাংসগুলো বিভিন্ন পলিথিনে নিয়ে বের হয়ে যায়।
হারুন অর রশীদ বলেন, যে মাংসগুলো পলিথিনে নেওয়া হয়, এটার মধ্যে হলুদ মাখানো হয়। যদি কেউ পথের মধ্যে ধরে, তখন বলবে এগুলো বাজার থেকে কেনা বা মসলা দেওয়া মাংস। অর্থাৎ, উদ্দেশ্য ছিল, এমনভাবে গুম করা হবে যেন কেউ কোনোদিন এটার অস্তিত্ব না পায়।