বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল পানির নিচে, ভেসে গেছে অসংখ্য চিংড়ি ঘের
বাগেরহাটের রামপাল, চিতলমারী, সদর ও মোড়েলগঞ্জের ব্যাপক এলাকার চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে। গতকাল রোববার রাত ১১টা থেকে গোটা এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। আজ সোমবার (২৭ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত এখনও থেমে থেমে দমকা হাওয়া বইছে। সাথে রয়েছে বৃষ্টি। গোটা উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত। বাগেরহাট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে পাঁচ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে জেলার ৭৫ ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের কাঁচা ও আধাপাকা ৩৫ হাজার ঘর-বাড়ি আংশিক ও ১০ হাজার ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে সড়ক, বিদ্যুতের পোল ও বসত ঘরের ক্ষতি হয়েছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান আল বেরুনী জানান, বাগেরহাটের বিষ্ণুপুর ও মোড়েলগঞ্জে বেড়িবাঁধসহ ৬টি স্থানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম রাসেলুর রহমান জানান, জেলায় প্রাথমিকভাবে দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ব্যাপক এলাকার চিংড়ি ঘের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এসব এলাকার প্রধান সড়ক বাদে অধিকাংশ সড়ক পানির নিচে রয়েছে। তবে ঝড় না থামলে বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব হচ্ছে না।