বাগেরহাটে তাণ্ডবের ক্ষত রেখ গেল ঘূর্ণিঝড় রিমাল
দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পূর্ণশক্তিতে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের রামপাল, চিতলমারী, সদর ও মোড়েলগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল তাণ্ডবের চিহ্ন রেখে গেছে। ঝড়-বৃষ্টি থেমে গেলেও অধিকাংশ এলাকা এখনও গ্যাস ও বিদ্যুৎহীন। যেখানে সেখানে পড়ে আছে উপড়ে পড়া গাছ, বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। এ অঞ্চলের হাজার হাজার ঘেরের চিংড়ি ভেসে গেছে।
তাণ্ডবের পর আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে এ অঞ্চলে সূর্যের দেখা মিলেছে। বিভিন্ন সড়ক ও বাড়ির ওপর পড়ে থাকা গাছ কেটে স্থানীয় বাসিন্দা, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পরিষ্কার করছেন। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। তবে বাগেরহাটের মানুষের এ ক্ষতি সামলে উঠতে দীর্ঘদিন লেগে যাবে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ খালিদ হোসেন বলেন, ‘উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করলেও বিভিন্ন স্থানে রাস্তা ঘাট ভেঙে গেছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ৭৫টি ইউনিয়নে নিম্নাঞ্চলের কাঁচা ও আধা পাঁকা প্রায় ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১০ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।’
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান আল বেরুনী বলেন, বাগেরহাটের বিষ্ণপুর ও মোড়েলগঞ্জে বাঁধসহ ছয়টি স্থানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেলুর রহমান বলেন, ‘জেলায় চারটি উপজেলার অনেকগুলো চিংড়ির ঘের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। এসব এলাকার বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’