সোয়া দুই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. রাসেল রনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারার মোহাম্মদ আল মাসুদ করিম সরকারি কর্মচারী হয়ে অপরাধজনক অসদাচরণের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন। অন্যদিকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনপূর্বক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন। আর তার স্ত্রী আসামি খাদিজা আক্তারের নামে ২২ লাখ সাত হাজার ১৫৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে।

এজাহার থেকে আরও জানা গেছে, আসামি মোহাম্মদ আল মাসুদ করিমের ও তার স্ত্রীর নামে দুই কোটি ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। যার মধ্যে গোপন করা সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩২ টাকা। তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার মূলত একজন গৃহিণী। তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিলেও ব্যবসায়ের সপক্ষে রেকর্ডপত্র দিতে ব্যর্থ হন। তার ব্যবসার অবস্থান হিসেবে তিনি তার শ্বশুর বাড়ির ঠিকানা উল্লেখ করলেও সরেজমিন পরিদর্শনের সময় ব্যবসায়িক কার্যক্রম দেখা যায়নি। এ ছাড়া বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতে খাদিজা আক্তারের নামে দুটি যানবাহন রেজিস্ট্রেশনের তথ্য পাওয়া যায়। যাচাইয়ের সময় গাড়ির মূল্য জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্তের সময় দেখবে দুদক। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারাসহ দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।