উপজেলা নির্বাচনে ৩৬.৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে : সিইসি
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ ধাপে ৪৬৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। এ ভোটে গড়ে ৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ সোমবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির আয়োজনে ‘আরএফইডি টক’ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান সিইসি।
এখন পর্যন্ত দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৬৯টিতে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি। সবশেষ গতকাল রোববার ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ৪৬৯টি উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। অতীতের তুলনায় শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। সার্বিকভাবে ৩৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, এবার নির্বাচন অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। অনেকে এমপি প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টা করেছিল, আমাদের তৎপরতায় সফল হয়নি। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা আরও বেশি সংস্কার প্রয়োজন।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার গত ৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ১৩৯টি উপজেলায় ৩৬ দশমিক এক শতাংশ ভোট পড়েছে। ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ৮৭ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ। ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোট হয়। এ ধাপে ভোটের হার ৩৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর গতকাল রোববার পঞ্চম ও শেষ ধাপে ১৯ উপজেলায় পড়েছে ৪৩ শতাংশ ভোট।
১৫ বছর আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে তৃতীয় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। এরপর ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৬১ শতাংশের মতো। আর ২০১৯ সালে প্রথমবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ। এবারের উপজেলায় ভোট পড়ার হার ইতিহাসের সবচেয়ে কম।