ঈদের ছুটিতে বেনাপোল সীমান্তে যাত্রী পারাপারের হিড়িক
চলছে ঈদের আজহার ছুটি। রাত পোহালেই ঈদ। টানা পাঁচ দিনের ছুটি কাটাতেই অনেকেই ছুটছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। সেই জেরে গতকাল শনিবার (১৫ জুন) বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ছিল ভারতগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত দুদিনেই দুদেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন প্রায় ২২ হাজার ১১৩ জন। এর মধ্যে ভারতে গেছেন ১৫ হাজার ৩৬৩ জন ।
বেনাপোল চেকপোস্টে ইমিগ্রেশনে গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অপেক্ষা করছেন কয়েক হাজার যাত্রী। তাদের সেই লাইন ডেস্ক থেকে বারান্দা পেরিয়ে পৌঁছেছে ইমিগ্রেশন ভবনের বাইরের প্রধান সড়কে। তীব্র গরম আর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। অন্যদিকে, যাত্রীদের চাপে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদে টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি পাওয়ায় ভারতে ভ্রমণকারী এবং চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া যাত্রীদের চাপ বেড়েছে বেনাপোল বন্দরে। ঈদের ছুটি উপলক্ষে দুদিনে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন প্রায় ২২ হাজার ১১৩ জন। এর মধ্যে ভারতে গেছেন ১৫ হাজার ৩৬৩ জন এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ছয় হাজার ৭৫০ জন।
ভারতগামী যাত্রী নাসিম রানা জানান, ঈদের ছুটিতে ভারতের দর্শনীয় স্থান ঘুরতে যাচ্ছেন, কিন্তু এখানে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা তীব্র গরম আর রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কখন ইমিগ্রেশন পার হবো বলতে পারছি না।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, ঈদের ছুটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন। স্বাভাবিক সময়ে এ সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে থাকে। তবে, এবার রেকর্ডসংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেছেন। যাদের অধিকাংশই ঈদ ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য ভারতে গমন করেন। ঈদের সময়ে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় নিয়ে বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে, দ্রুত যাতে তারা পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে পারেন সেজন্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া পেট্রাপোলে দুর্ভোগের বিষয়ে আজহারুল বলেন, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ওসির সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে তাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ওসি জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশনে দেরি হচ্ছে না। দেরি হওয়ার মূল কারণ বিএসএফের তল্লাশি। এরপরও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাগিদ দেওয়া হয়েছে।