রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক, দিন শেষে অজগর ছানা
সুনামগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাসেলস ভাইপারের ছবি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আজ রোববার (২৩ জুন) এ ঘটনা ঘটে।
সারা দেশে যখন এই বিষধর রাসেলস ভাইপার নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে তখন জেলার বিশ্বম্ভপুর উপজেলায় আজ সকালে জেলেদের জালে আটকা পড়া একটি অজগর সাপের ছানা নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এই আতঙ্কে ঘি ঢালে স্থানীয় একটি ফেসবুক পেইজ। ‘সুনামগঞ্জ স্টার’ নামের ওই ফেসবুক পেইজে একটি ছোট অজগরের বাচ্চাকে রাসেলস ভাইপার বলে গুজব সৃষ্টি করা হয়। এরপর এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় উঠে যে সুনামগঞ্জেও রাসেলস ভাইপার চলে এসেছে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের সাংস্কৃতিক সংগঠক রিপন চন্দ বলেন, সকাল থেকে রাসেলস ভাইপার নিয়ে গুজব সৃষ্টি করা হয় এবং এই গুজব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনিতেই এই জেলার মানুষ বন্যাসহ নানা আতঙ্কে আছে, তারমধ্যে একটি অজগর সাপকে রাসেলস ভাইপার বলে চালিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। যারা এই গুজব ছড়িয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার। একই সাথে মানুষকে সচেতন করতে প্রশাসনের মাইকিং করা দরকার।
সুনামগঞ্জ স্টার ফেসবুক পেইজের অ্যাডমিন হাসান বশির বলেন, ‘উপজেলার রংপুর এলাকার স্থানীয়রা খবর দেয় একটি রাসেলস ভাইপার ধরা পড়েছে। সেই খবর শুনে আমি ফেসবুকে লাইভ করি। সাপ নিয়ে আমার কোনো অভিজ্ঞতা নেই, যেহেতু আগে রাসেলস ভাইপার দেখার অভিজ্ঞতা ছিল না তাই আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে রাসেলস ভাইপার মনে করেছি। পরে প্রশাসন ও বন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন এটি রাসেলস ভাইপার নয়, একটি অজগরের বাচ্চা। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিশ্বম্ভপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশে আমাদের পেইজ থেকে ডিলিট করে দিয়েছি।’
বিশ্বম্ভপুর থানার ওসি শ্যামল বণিক বলেন, ‘উপজেলার রংপুরের রাসেলস ভাইপারের ভিডিও দেখে সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং সাপের ভিডিও ধারণ করে বন কর্মকর্তাসহ সাপ বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠাই। বন কর্মকর্তা ও সাপ বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেন এটি রাসেলস ভাইপার নয়, একটি অজগরের বাচ্চা। পরে আমরা সুনাম স্টার ফেইসবুক পেইজ থেকে রাসেলস ভাইপার দাবি করা ভিডিওটি ডিলিট করাই। আর যাতে কেউ গজব ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা জনসাধারণকে সচেতন করছি।’