খালেদা জিয়াকে আবদ্ধ রাখা মানে দেশকে শৃঙ্খলিত রাখা : মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আজকে খালেদা জিয়া যদি মুক্ত থাকতেন তাহলে শেখ হাসিনা দেশটা নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে পারতেন না। তাকে আবদ্ধ রাখা মানে হচ্ছে দেশকে শৃঙ্খলিত করে রাখা।
আজ বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের সঙ্গে এক যৌথসভায় মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
আগামী শনিবার (২৯ জুন) বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আহুত সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সিনিয়র নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রত্যেক মানুষকে আগে দেশকে ভালবাসতে হবে। তারপর দল ও ব্যক্তি। আর দেশকে ভালবাসার প্রতীক হচ্ছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।
মির্জা আব্বাস বলেন, ১/১১ তে আমিও জেলখানায় ছিলাম। সে সময় আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতারাও কারাগারে ছিলেন। আমি মুক্তি পাবার দুইমাস পর খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছিলেন। জেলখানায় খালেদা জিয়াকে ১/১১ সরকার কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছিল। সে প্রস্তাব মানলে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং রাজনীতি করতে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। সে শর্ত মানলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হতো। তাই সেদিন খালেদা জিয়া কোনো আপস করেননি। কিন্তু সেই একই প্রস্তাব মেনে নিয়ে শেখ হাসিনা আজ প্রধানমন্ত্রী।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি না। মুক্তি দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। এখন সবাইকে সব কাজ বাদ দিয়ে দলের জন্য দেশের জন্য এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য লড়াই করতে হবে। সাহস করে রুখে দাঁড়াতে হবে। আন্দোলনে নেমে ঘরে ঢুকে যাব এমন যাতে না হয়।’
মির্জা আব্বাস দলীয় নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, সমাবেশে কোনো দলীয় নেতার স্লোগান হবে না। ব্যানারে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান ছাড়া কোনো ব্যক্তির ছবি রাখা যাবে না। অনেক মহাপুরুষকে দেখি বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশে নিজের বিশাল ছবি দিয়ে ব্যানার টানিয়ে রাখে। তাদের কিন্তু মাঠে দেখা যায় না। ব্যস্ত থাকেন চামচামিতে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে যৌথসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এসময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক বাবুল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, হারুন উর রশিদ হারুন, লিটন মাহমুদ, এস কে সিকান্দার কাদির, মনির হোসেন চেয়ারম্যান, সাইদুর রহমান মিন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জহির উদ্দিন তুহিন, পাপ্পা সিকদার, যুবদলের এম এ গাফফার, শ্রমিক দলের নেতা বদরুল আলম সবুজ, ছাত্রদলের নেতা খালিদ হোসেন জ্যাকি, সোহাগ ভূইয়া প্রমুখ।