রাবানের রসময় আনারসের বাম্পার ফলন
রাবানের আনারস মানেই রসময়। অসাধারণ স্বাদের এই আনারস খেলে জিহ্বায় লেগে থাকে স্বাদ! অনেক জায়গায় চাষ হলেও নরসিংদীর পলাশ উপজেলার রাবান অঞ্চলের আনারসের খ্যাতি দেশজুড়ে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কোনো প্রকার রাসায়নিক প্রয়োগ ছাড়াই সনাতন পদ্ধতিতে বেশ ভালো ফলন হয়েছে। ফলে খুশি এখানকার কৃষক, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবাই। যদিও বেনামী জাতের আনারস রাবানের বলে বাজারে বিক্রি করে এই খ্যাতি নষ্ট করছেন অনেক ব্যবসায়ী—বলে রয়েছে অভিযোগ।
আনারস চাষীরা জানায়, দেশীয় প্রজাতির এ আনারসের পুষ্টিগত মান ও রসে টসটসে হওয়ায় বাজারে চাহিদা ব্যাপক।
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌর এলাকা ও জিনারদী ইউনিয়নের রাবান, কুড়াইতলী, কাটাবের, ছয়ধরিয়া, বড়িবাড়ি বরাবসহ এই অঞ্চলের প্রায় ১৪৫ হেক্টর জমিতে ঘোড়াশাল জাতের এই আনারসের চাষ করা হয়। প্রতি বিঘা জমিতে আনারস চাষে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচের বিপরীতে বিক্রি হয় প্রায় এক লাখ টাকা। ফলে এই এলাকার কৃষকদের প্রধান অর্থকরী ফসল হয়ে দাঁড়িয়েছে এই আনারস।
জেলা কৃষি বিভাগ আরও জানিয়েছে, আকারে ছোট হলেও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে ভাল ফলন হয়েছে আনারসের। পাশাপাশি বাজার ভালো দাম পাওয়ার খুশি কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নরসিংদীর পলাশ উপজেলা আবু জাফর মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, এ বছর পলাশে ১৪৫ হেক্টর জমিতে ঘোড়াশাল জাত আনারসের আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ১০ থেকে ১২ টন ফলনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এই চাষ পদ্ধতি সনাতন হওয়ায় কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। ফলে স্থানীয় এবং দেশের বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে এই আনারসের। অধিক পরিমাণে ফলনের জন্য প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কৃষি বিভাগ।