সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী সায়মা বেগমের সাড়ে ১১ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে দুদকের মামলায় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. জেবুননেছা এ আদেশ দেন। এর আগে সিএমপির ক্রাইম বিভাগের এডিসি কামরুল হাসান ও তার স্ত্রীর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অনুসন্ধানে ১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পায় প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি বুঝতে পেরে সম্পদ বিক্রি ও হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে কামরুল হাসান সায়মা দম্পতি। অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করে দুদক।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, দুদকের মামলায় শুনানি শেষে আদালত সিএমপির এডিসি (ক্রাইম) কামরুল হাসান ঘুষ গ্রহণ, মানুষকে হয়রানি, চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। একইভাবে তাঁর স্ত্রী সায়মা বেগমের নামে বিপুল সম্পদের তথ্য মিলেছে দুদকের অনুসন্ধানে।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) কামরুল হাসানের নামে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে চারতলা ভবন, সাভার আনন্দপুরে ৫ দশমিক ২০ শতাংশ জমি। সাভার সিটি টাওয়ারে ১০তলা ভবনে ২৬ শতকের জায়গায় ১০তলা ভবনে ৭টি ফ্ল্যাট। সিডিএ অনন্যা আবাসিক এলাকায় প্লট, হালিশহর মৌজায় ৪০ শতক নাল জমি, নাসিরাবাদ মৌজায় ৩.৩৩ শতক ভূমি, ঢাকার সাভার জ্বালেশ্বর টাট্টীতে ২৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি ও সাভার সিটি সেন্টারে ১২তলা ভবনে ২২টি দোকান রয়েছে।
একজন গৃহিণী হয়ে সায়মা বেগম অন্য দুজন সহ তিনজনের নামে সওদাগর নেভিগেশনে পাঁচটি মালবাহী নৌযানের মধ্যে চারটিতে শেয়ার আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে ৪৫ লাখ টাকার এফডিআর আছে তার নামে। নগরীর খুলশী ও নাসিরাবাদ এলাকায় একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের তথ্য পেয়েছে দুদক। বিপুল সম্পদের পাশাপাশি দুজনের প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।