রাজধানীতে সকাল থেকেই ঝুম বৃষ্টি, থাকবে কয়দিন?
রাজধানীতে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। মাঝে কয়েক মিনিট বিরতি দিয়ে আবারও শুরু হয় বৃষ্টি। আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঝরছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী কয়েকদিন এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) দেওয়া আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে ৩৩৪ মিলিমিটার। এ ছাড়াও কুতুবদিয়ায় ১২৩, সিলেট ও সীতাকুণ্ডে ৫৬, গোপালগঞ্জে ৭১, চাঁদপুরে ৫৭ ও নেত্রকোনায় ৫৫ মিলিমিটারসহ দেশের অনেক অঞ্চলে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ময়মনসিংহ খুলনা বরিশাল, চট্টগ্রাম ও বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকাসহ রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি এসব এলাকায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।