রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা জোরদার
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ভর করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিনগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। প্রথম দুদিন দুই ঘণ্টা শিথিল রেখে দফায় দফায় কারফিউ চললেও আজ রাজধানীতে বাড়ানো হয়েছে এই সময়। যদিও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল রয়েছে। এদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সকাল থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। পল্টন মোড়েও পাহারা ছিল চোখে পড়ার মতো। এই এলাকা থেকে জিরো পয়েন্টের দিকে রাস্তার পাশে রাখা হয়েছে পুলিশের এপিসি কার, জল কামান ও প্রিজন ভ্যান। পাশেই পল্টন মোড়ে বিজিবির সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে।
ঠিক উল্টো পাশে সোনালী ব্যাংকের পাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এসব এলাকায় দুপুর আড়াইটার দিকে পথচারী ও যাত্রীদের চলাচল কম ছিল। গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে পল্টন হয়ে প্রেসক্লাব যাওয়ার পথে চলতে দেখা গেছে বেশ কিছু গণপরিবহণ।
মেট্রোরেলের সচিবায়লয় গেটের সামনে ছয়জন সেনাবাহিনীর সদস্যকে অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। একটু সামনে প্রেসক্লাবের গেটে বেশকিছু পুলিশের সদস্য ও সড়কের বিপরীত দিকে পুলিশের সাঁজোয়া যান ছিল। জাতীয় ঈদগাহের গেটের সামনে সেনা সদস্যের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে পুলিশের অবস্থান কড়াকড়ি ছিল। সড়কে চলাচলরতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেও দেখা গেছে। পার্কের ভেতরেও বেশ কিছু পুলিশ ও আনসার সদস্য ছিল। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রায় সাহেব বাজার সড়কেও চলাচলরত পথচারীদের তল্লাশি করছিল পুলিশ।