খুলনায় সংঘর্ষ : এক পুলিশ নিহত, আহত অর্ধশতাধিক
খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চার ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে সুমন নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত গল্লামারিতে খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সামনে থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ছিল রণক্ষেত্র।
পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান এ সময় আরও ২০ পুলিশ আহত হয়েছেন।
দফায় দফায় এই সংঘর্ষে সাত শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ মোট অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী আজ জুমার নামাজের পর খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে শিববাড়ি মোড়ে শিক্ষার্থীরা জমায়েত হয়ে সড়ক অবরোধ করে। পরে সেখানেই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে তারা। পরে শিববাড়ি মোড় থেকে গণমিছিল সহকারে খুলনা জিরো পয়েন্টের দিকে রওনা হয় তারা। এই গণমিছিল জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এই সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল, রবার বুলেট নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটে গল্লামারি ব্রিজ এলাকায় অবস্থান নেয়। তখন ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হলে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এরপর আন্দোলনকারীরা জিরো পয়েন্ট থেকে গল্লামারী পর্যন্ত পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বিকেল সাড়ে ৫টার পর শিক্ষার্থীরা আবারও শিববাড়ি মোড়ে আসার ঘোষণা দেয়। এরপর গল্লামারি ব্রিজ এলাকায় এলে পুলিশ আবার বাধা সৃষ্টি করে টিয়ার গাসের শেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে যা থেমে থেমে চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে নারী শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এলাকাবাসী যোগ দিয়ে কয়েকজন পুলিশ আটকিয়ে মারধর করে। এ সময় কনস্টেবল সুমন নিহত এবং কয়েকজন কর্মকর্তাসহ প্রায় ২০ পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সংঘর্ষে পথচারী, শিক্ষার্থীসহ আরও ৩০ জনের বেশি আহত হয়। রাতে নগরীর শেরেবাংলা রোড়ে শিক্ষার্থীদের সমর্থনে স্থানীরা মিছিল করে ২৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগ অফিস ভাঙচুর করে।