সিরাজগঞ্জ ও কুমিল্লায় ১৪ পুলিশ নিহত
ডিগ্রি কলেজ ও খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা আজ রোববার (৪ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুরের বিভিন্ন রাস্তায় মিছিল করে। পুলিশ আন্দোলনকারীদের হটাতে টিয়ার সেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় এনায়েতপুর থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানে ১৩ পুলিশ নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া জেলায় আরও ছয়জন নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, ১৩ পুলিশ ছাড়াও জেলার রায়গঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যুর তথ্য আজ বেলা সাড়ে ৩টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিমুল ইহসান। আমিমুল ইহসান বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় আওয়ামী লীগের ১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন সরকারের মরদেহ পরিবারের লোকজন নিয়ে গেছেন। অন্য তিনজন হলেন—উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ছরওয়ার, আলম ও প্রদীপ কুমার।
অপরদিকে কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংঘর্ষে দাউদকান্দি ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের এরশাদ মিয়া নামে এক সদস্য নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের সুপার খায়রুল আলম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকাল থেকেই দাউদকান্দি ও ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় আন্দোলনকারীরা দাউদকান্দি সুন্দলপুর ইউনিয়ন পরিষদে আগুন দেয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় দুটি সিএনজি ও ছয়টি মোটরসাইকেল।
পুলিশ সুপার খায়রুল আলম জানান, আন্দোলনকারীরা কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পুরাতন ভবনে আগুন দেয়। পরে ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় আগুন দেয়। এর আগে পুলিশের একটি পাইভেটকার ও রেকারে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা এরশাদ মিয়া নামে এক পুলিশ কনসটেবলকে পিটিয়ে হত্যা করে।