শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে রাজনীতিতে নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করেছেন : যুবদল সম্পাদক
বাংলাদেশ থেকে কোন সরকার প্রধান নির্লজ্জের মতো নেতাকর্মীদের রেখে পালিয়ে যায়নি জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেছেন, পালিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনা রাজনীতিতে নিকৃষ্ট নজির স্থাপন করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) মিরপুরে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নয়ন এসব কথা বলেন।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সেনা কর্মকর্তাদের বর্বরোচিত হত্যা, হেফাজতের আলেমদের গণহত্যা, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনিকে নির্মমভাবে হত্যা, ১৫ বছর ধরে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গুম-খুন-হত্যা-নির্যাতন-নিপীড়ন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি করে শত শত প্রাণ কেড়ে নেওয়ার সরাসরি নির্দেশদাতা শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নয়ন বলেন, আপনাদের নেত্রী তো নাই আপনাদের রেখে পালিয়ে গেছে, আপনারা এখন তার ষড়যন্ত্রে দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে কী করবেন? এদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে যে সফলতা বা স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি তার মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।
এসময় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে অস্ত্র দিয়েও ক্ষমতায় টিকতে না পেরে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। নেতাকর্মীদের কথা চিন্তা না করে তিনি ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকে কর্মীদের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির উসকানি দিচ্ছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসকের পতন ঘটিয়ে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই বাংলাদেশে যেন কোনো স্বৈরাচারের আবির্ভাব আর না ঘটে। আমরা চাই দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আরও যারা উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, ফিরোজ আব্দুল্লাহ, শাহ নাসির উদ্দিন রুমন, গিয়াস উদ্দিন মামুন, ইউনুস আলী রবি, সাজিদ হাসান বাবু, রোকনুজ্জামান, মিজানুর রহমান রাজ, মিজানুর রহমান সুমন ও শাহজাহান রনি প্রমুখ।