তোদের ফাঁসি চাই! আমার ছেলের লাশ দেখতে, দাফন করতে দিলি না
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগের মামলা করা হয়। যে মামলার আসামি ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে মামলার বাদী ইমাম হোসেন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে দেখে বলেন, ‘তোদের ফাসি চাই। তোরা আমার ছেলের লাশও দেখতে দিলি না। আমার ছেলের লাশও দাফন করতে দিলি না।’
ইমাম হোসেন কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি চিৎকার করে বলেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ওদের রিমান্ডে দেন। এরা আমার ছেলের লাশটাও দেখতে দেয়নি। আমার ছেলেকে দাফন দিতেও দেয়নি। ওদের রিমান্ড দেন।’ এরপরে তিনি কান্না করতে থাকেন। এ সময় উপস্থিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বলেন, আপনার জন্য আমরা সবাই আছি।
সন্ধ্যা ৭টায় বিচারক মামুনুর রশীদ এজলাসে উঠলে কোর্ট ইনেসপেক্টর মো. আসাদ রিমান্ড চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পালানোর সময় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে হত্যা মামলায় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান ঢাকা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পপতি সালমান ফজলুর রহমান ওরফে সালমান এফ রহমান। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরও তাকে একই পদে বহাল রাখা হয়। ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা) আসন থেকে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনিসুল হক। ওই মেয়াদেই তাকে আইনমন্ত্রী করে সরকার। এরপর থেকে তিনি আইনমন্ত্রীর পদে ছিলেন।