৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ আইনজীবীর মৃত্যু, বিচার চাইলেন সহকর্মীরা
কুমিল্লা জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের জানাজা জেলা জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) জুমার নামাজের পর এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় উপস্থিত আইনজীবীরা আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। এরপর তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার কাজিরগাঁও এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
কুমিল্লা নগরীর মোগলটুলি এলাকায় গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হন আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। এরপর ১০ দিন চিকিৎসাধীন থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
জানাজায় শরিক হয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ভুইয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, আবুল কালাম আজাদ একজন বিচক্ষণ আইনজীবী ছিলেন। তাঁর এমন মৃত্যুতে তিনি শোক প্রকাশ করে যারা তাঁকে হত্যা করেছে তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আ হ ম তাইফুর আলম বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের নিমর্মতার বলি হয়েছেন আমাদের সহকর্মী আবুল কালাম আজাদ। তাঁকে নগরীর মোগলটুলি এলাকায় নিমর্মভাবে পিটিয়ে ও গুলি করে আহত করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্য হয়। তাঁর মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আমরা এই ঘটনায় জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু বলেন, ‘৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিকেলে নগরীর প্রতিটি সড়কে বিজয় মিছিলের পাশাপাশি বেশ সহিংসতা চলে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আদালতে হামলার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যাই আমি, আমার ছেলে শাফিউল হক আলভী, আরফানুল হক অবরিন এবং অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। এরপর তারা মাগরিবের নামাজ পড়তে নগরীর মোগলটুলী এলাকায় পৌঁছালে সিটি কাউন্সিলর রায়হানের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা ও গুলি করা হয়। এ ঘটনায় আবুল কালাম আজাদ আহত হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’
এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পিপি জহিরুল ইসলাম সেলিম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুর রশীদ ইয়াছিন।
জানাজায় শতাধিক আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
জানাযার নামাজ শেষে আইনজীবী আবুল কালাম আজাদের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার কাজিরগাও এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।