ঢাকা মহানগর পিপি হলেন এহসানুল হক সমাজী
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী। তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবুর স্থলাভিষিক্ত হলেন। আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে এহসানুল হক সমাজীকে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেওয়া হলো। আর এই পদে দায়িত্ব পালন করে আসা আবদুল্লাহ আবুর নিয়োগ বাতিল করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এহসানুল হক সমাজী ২০০৭ থেকে ২০০৯ মেয়াদে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর এবং বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার মেয়াদে তিনি রাষ্ট্র/প্রসিকিউশনের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং ফৌজদারি আদালতে সমস্ত মামলা পরিচালনা করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ সালের এলএলবি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন এহসানুল হক সমাজী। ১৯৮৬ সালের ৩০ অক্টোবর একজন আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। ওই বছরের ৪ নভেম্বর তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৮৮ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯২ সালের ২১ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন।
এহসানুল হক সমাজী কিছু চাঞ্চল্যকর মামলাসহ অসংখ্য ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেছেন। তিনি একজন ক্রিমিনাল প্র্যাকটিশনার হিসেবে অনুশীলন করতে উৎসাহিত বোধ করেন। তিনি অনেক প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পার্ট টাইম ফ্যাকাল্টি ছিলেন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত ট্রায়াল ও অ্যাডভোকেসি বিষয়ে পাঠদান করেন।
এহসানুল হক সমাজী একজন স্বনামধন্য ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) কোড, ইউএনডিপি বাংলাদেশের পলিসি সংশোধনী সংক্রান্ত কাগজ তৈরিতে জাতীয় পরামর্শদাতা ছিলেন।