ঝুলছিল ইডেনের শিক্ষার্থী শায়লার মরদেহ
রাজধানীর লালবাগ থানাধীন রসুলবাগের একটি বাসা থেকে শায়লা শিকদার (২২) নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে উদ্ধার কার্যক্রমে গিয়ে পুলিশ দেখে, ফ্যানের সঙ্গে উড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছিল তার মরদেহ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অজয় কৃষ্ণ পাল এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিন সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
পুলিশ বলছে, শায়লা ইডেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তবে, তিনি পোস্টেড নেত্রী ছিলেন কি না, তা জানে না পুলিশ। তিনি রসুলবাগ রোডের একটি বাড়ির ষষ্ঠ তলায় একটি সাবলেট রুমে থাকতেন। তার বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানার ধানখালি গ্রামে। তার বাবার নাম আল আমিন শিকদার।
অজয় কৃষ্ণ পাল বলেন, শুনেছি গত ২৭ আগস্ট রাত ১১টার দিকে বাসায় যান শায়লা। এরপর ২৮ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে তার বান্ধবী খুশবু আক্তার ওই বাসায় যান। গিয়ে দেখেন, ফ্যানের সঙ্গে উড়না পেঁচানো অবস্থায় শায়লার মরদেহ ঝুলছে। পরে খুশবু আক্তার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমাদের জানান। সে সময় আমরা ওই বাসায় যাই। গিয়ে দেখি, মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।
অজয় কৃষ্ণ পাল বলেন, তারপর ঢামেক হাসপাতালে মরদেহ নেওয়া হয়। সরতহার সম্পন্ন করি। শরীরের অন্যান্য অংশে কোনো দাগ ছিল না। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই আমাদের ধারনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তারপর মরদেহ নিয়ে পরিবার পটুয়াখালীর দিকে রওনা দেন।
রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে অজয় কৃষ্ণ পাল বলেন, শায়লার মা বলেছেন আমাকে, তার মেয়ে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে, পদ-পদবী সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমের দাবি, শায়লা শিকদার কলাপাড়া থানা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন।