আদালতে যা বললেন হাসানুল হক ইনুর আইনজীবী
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বছিলায় মো. সুজন নামে এক ট্রাকচালক নিহতের মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এই আদেশ দেন। এদিন ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভিকটিম সুজন হত্যা মামলায় ইনুকে গ্রেপ্তার দেখানো আবেদনসহ দশদিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ইনুর আইনজীবী মো.সেলিম রিমান্ডের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানিতে মোহাম্মদ সেলিম বলেন, বিজ্ঞ আদালত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যৌক্তিক ছিল। সে বিষয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলেন হাসানুল হক ইনু। আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই ইনু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে জনানা। তিনি আন্দোলনের দাবি-দাওয়া মেনে নিতে শেখ হাসিনাকে অনুরোধও করেন। শুনানির এক পর্যায়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা হই হুল্লোড় শুরু করলে বিচারক তাদের প্রশ্ন করেন, আপনারা কি শুনানি করতে দেবেন কি না। এরপরও বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা না থামায় বিচারক দ্রুত রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে ইনুকে গ্রেপ্তার করে ডিবির একটি টিম। গ্রেপ্তারের পরে ২৭ আগস্ট ইনুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার মামলায় সাতদিন রিমান্ডের আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই ট্রাকচালক সুজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গত ২২ আগস্ট বাদী হিসেবে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৭৯ জনকে আসামি করা হয়।
অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, বৈষমাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০ জুলাই সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুর থানার বছিলা রোডে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে আসামিদের সরাসরি নির্দেশনায়, পরিকল্পনায় এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণে হামলা চালানো হয়। হত্যার উদ্দেশে নিরাপরাধ শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর গুলি বর্ষণ করে। আমার ভাই সুজন পেশায় একজন ট্রাকচালক। ঘটনার দিন সুজন মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের লাউতলা এলাকায় তার ট্রাক গ্যারেজে রেখে বাড়ি ফেরার সময় তাকে গুলি করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।