গ্রেপ্তার আল আমিন, দখলমুক্ত বঙ্গবন্ধু কলোনি
সরকার পতনের ৩৪ দিন পর সন্ত্রাসী আল আমিন বাহিনীর দখল থেকে মুক্ত হয়েছে বরিশালের বঙ্গবন্ধু কলোনি। আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা কলোনিতে প্রবেশ করে দখলমুক্ত করে।
এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ঠেকাতে কলোনির মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের ক্যাডার ছাত্রলীগনেতা আল আমিন ও তার বাহিনী। এরপর বিএনপির নেতাকর্মীরা কলোনিতে প্রবেশ করতেই হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেয় তারা। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের হামলায় দুই পুলিশ ও এক সেনা সদস্য আহত হন।
আল আমিনকে গ্রেপ্তারের খবরে কলোনির দেড় সহস্রাধিক পরিবারসহ স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এ বাহিনীর ভয়ে স্থানীয়রা এতদিন আতঙ্কে ছিল।
মসজিদের মাইকে আল আমিনকে বলতে শোনা যায়, ‘এই কলোনিতে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী প্রবেশ করতে পারবে না। আপনাদের যার কাছে যা কিছু আছে সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করতে রাস্তায় আসুন।’
এর আগে গত ৪ আগস্ট নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মজিবুর রহমানের সহযোগী ছাত্রলীগনেতা আল আমীন ও তার বাহিনী বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম করে। তাদের হামলায় সেদিন গুরুতর আহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস, আসলাম, তানজিল, সুমন ও রিমন। সেই ঘটনায় একজনের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাকি চারজনও গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ুন বলেন, ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে কলোনিতে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে আল আমিন বাহিনী। ৫ আগস্ট সমগ্র বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও বরিশাল নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ড ছিল ওই বাহিনীর দখলে। শুধু তাই নয়, কাউন্সিল মজিবুর রহমানের ছত্রছায়ায় এই বাহিনী চালিয়ে যাচ্ছিল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। সাধারণ জণগণ তো দূরের কথা থানা পুলিশও আল আমিন বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ভয় পেত। এ কথার সত্যতা মিলেছে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে কথা বলে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গত ৪ আগস্টের ঘটনার পর পরই আমরা সিনিয়র অফিসার ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আল আমিন বাহিনীর বিষয়ে কথা বলেছি। আজ আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ওসি আরও বলেন, আল আমিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে ১৩টি মামলা রয়েছে।