ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ বৃথা গেলে ইতিহাসে কালপ্রিট হতে হবে : সারজিস
একটি বৈষম্য বিহীন দেশ গড়তে হবে। তা না হলে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের দোসররা পাল্টা হামলা চালাবে, শহীদের রক্ত ও ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে। তখন ইতিহাসের কালপ্রিট হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর টাউন হলের সামনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে মত বিনিময় সভায় সারজিস আলম এ মন্তব্য করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সারজিস আলম, তারিকুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক।
সারজিস আলম বলেন, ‘গণহত্যার বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।’
সারজিস আলম ক্ষোভের সঙ্গে আরও বলেন, পতিত হাসিনা সরকার রংপুরকে দ্বিতীয় সারির বিভাগ করে রেখেছিল। বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল সামান্য অর্থ। তিনি রংপুরে শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, শিল্প কলকারখানা গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবি জানান।
মতবিনিময় সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ২০২৪ এর স্পিরিট ধরে সব ধরনের কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে। যার যার রাজনৈতিক দলের যে দর্শন রয়েছে—তা আলাদা রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে আগে একটি বৈষম্য বিহীন দেশ গড়তে হবে। তা না হলে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের দোসররা পাল্টা হামলা চালাবে। তখন শহীদের রক্ত ও ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ বৃথা হয়ে যাবে। তখন ইতিহাসের কালপ্রিট হতে হবে।
বক্তারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ধৈর্য ধরে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনতার সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতা অতন্দ্র প্রহরীর মতো জেগে থাকবে।
মতবিনিময় সভাটি শেষ পর্যন্ত জনসভায় রূপ নেয়। কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এসে উপস্থিত হয়।
কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, ২০২৪-এ অর্জিত স্বাধীনতার একটি ডিমান্ড রয়েছে, স্পিরিট রয়েছে, মেসেজ রয়েছে। কাজেই কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না।