মেইড ইন ইন্ডিয়া পুতুল আর বাংলাদেশে নাচবে না : হাবিব-উন-নবী
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেছেন, বিগত ১৫ বছর ধরেই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস হয়ে গেছে। আমরা স্পষ্ট করেই বলতে চাই, ঢাকা যদি ভাল না থাকে তাহলে দিল্লিও ভালো থাকবে না। কীভাবে কী করতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। ভারতকে বলতে চাই, আগের মতো মেইড ইন ইন্ডিয়া পুতুল আর বাংলাদেশে নাচবে না।
আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম এসব কথা বলেন।
হাবিব-উন-নবী খান সোহেল আরও বলেন, ভারতের এক মন্ত্রী বলেছেন, তাদের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার জন্য। আমরা বলতে চাই বাংলাদেশের ১৭ কোটি সৈন্য রয়েছে। এ দেশের শিশু হতে সবাই সৈন্য। যে দলের নেত্রী কর্মীদের রেখে পালিয়ে যায় সেই দল করবেন না। লজ্জা! লজ্জা! আপনি লুকিয়ে থেকে বলছেন সীমান্তের ওপারে আছি, চট করেই ঢুকে যাব। আরে আসেন, ভেতরে আসুন। গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুরোনো জুতা স্যান্ডেল একটাও আমরা ফেলে দেইনি। এসব কিছুই জমা রেখেছি শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার জন্য। আজকে কাকু (ওবায়দুল কাদের) কোথায়? তিনি নাকি পালাবেন না! কিন্তু তাকে তো টোকাইয়া পাই না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা শেখ হাসিনাকে বহুবার বলেছি কেয়ারটেকার সরকার দেন। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বহুবার বলেছেন। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনেননি। তিনি দাদাদের কথা শুনলেন। আমাদের কথা শুনলে এভাবে পালিয়ে যেতে হতো না।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
সোহেল বলেন, দলের সকল নেতাকর্মীদের ফেলে পালালেন। যেন চাচা আপন প্রাণ বাঁচা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলি, যে দলের নেতা সবাইকে ছেড়ে পালিয়েছে তার দল করিয়েন না। যারা তাকে আশ্রয় দিয়েছে তাদের বলি, যে হাসিনা খুনি। তিনি অসংখ্য শিশুসহ মানুষ খুন করেছেন। শাপলা চত্বরে গণহত্যা চালিয়েছে। পিলখানায় ৫৭ জন চৌকস সামরিক বাহিনীর অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। এই সিরিয়াল কিলার শেখ হাসিনাকে যারা আশ্রয় দিয়েছেন বিভিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছেন। কান পেতে শোনেন- ঢাকা শান্তিতে না থাকলে দিল্লি শান্তিতে থাকতে পারবে না। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ একেকজন সৈনিক। অতএব হুমকি দিয়ে কাজ হবে না।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ। আরও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুলসহ বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী। ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত আছেন।