আসামি ধরতে সহযোগিতার মিথ্যা অভিযোগে বাড়িঘরে হামলা, জখম
গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করার মিথ্যা অভিযোগ এনে বাড়ি ঘর ভাঙচুর, মারপিট এমনকি পায়ের রগ কেটে রক্তাক্ত জখম করেছে গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের স্বজনরা। প্রাণ ভয়ে গ্রাম ছাড়া হয়েছেন হামলার শিকার হওয়া বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থক ও নেতাকর্মীদের পরিবারগুলো। মারাত্মক আহত চারজনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গোপালগঞ্জে গত ১৩ সেপ্টেম্বর স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাকে হত্যার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য জানিক চৌধুরী এবং তার চাচাতো ভাই আল-আমিন চৌধুরীকে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে এমন মিথ্যা অভিযোগ এনে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ওই ইউনিয়নের সিংগাতী গ্রামের এরশাদ চৌধুরী, মুরছালিন চৌধুরী, আজিজ চৌধুরী এবং তাইজুল চৌধুরীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে গ্রেপ্তারকৃত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের স্বজনেরা। এর মধ্যে পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় মুরছালিন চৌধুরীর। এ সময় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বাড়ি ঘরে। এ ঘটনার পর হামলার শিকার এরশাদ চৌধুরীর ভাতিজা সিব্বির চৌধুরীকে মুঠোফোন হত্যার হুমকি দেন চুনখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আওলাদ শিকদার। হত্যার হুমকিদাতা আওয়ামী লীগনেতা আওলাদ শিকদারের কল রেকর্ড এ প্রতিবেদকের হাতে আছে।
১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়ায় হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে। এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর জানিক চৌধুরী ও আলামিন চৌধুরীসহ ১১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়। পরবর্তীতে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় জানিক চৌধুরী ও আল-আমিনকে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আল আমিন জানান, সিংগাতি গ্রামে হামলার ঘটনায় এরশাদ চৌধুরী ২৪ সেপ্টেম্বর মোল্লাহাট থানায় একটি মামলা করেছেন। তবে আমি এখনো এজাহার পড়ে দেখিনি। বিষয়টি দেখে তারপরে জানা যাবে ঘটনা কি হয়েছিল।
মুঠোফোনে হুমকিদাতা সিংগাতি গ্রামের হাওলাত সিকদার জানান, আমি কাউকে ফোনে হত্যার হুমকি দিইনি।