১০ বছরের আক্ষেপ মিটিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
২০১৪ সালে ঘরের মাঠে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। সেই বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ জয়ই হয়ে আছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বশেষ সুখস্মৃতি। এরপর খেলা চার বিশ্বকাপে টানা ১৬টি ম্যাচে শুধু হারই সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। ১০ বছরের সেই জয়ের ক্ষুধা এবার মেটাল নারীরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে তুলে নিয়েছে দারুণ এক জয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১১৯ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করে স্কটল্যান্ড। ১৬ রানের জয়ে বিশ্বকাপের শুরুটা দুর্দান্ত হলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন রিতু মনি।
১২০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্কটিশদের। দলীয় ১২ রানের মাথায় দলটি হারায় তাদের প্রথম উইকেট। ফাহিমা খাতুনের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাসকিয়া হোরলেই। আউটের আগে করেন ১২ বলে ৮ রান। এরপর সারাহকে নিয়ে চাপ সামালের চেষ্টা করলেও বড় জুটি গড়তে পারেননি ক্যাথরিন ব্রেইস। দলীয় ৩১ রানের মাথায় ফেরেন ব্রেইস। ১১ বলে ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
দ্বিতীয় উইকেটের পর তৃতীয় উইকেট পেতেও খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলাদেশকে। দলীয় ৪৯ রানের মাথায় ফেরেন অ্যালিসা লিস্টার। ১২ বলে করেন ১১ রান। এরপর বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি স্কটল্যান্ড।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার সাথী রানী ও মুরশিদা খাতুন মিলে ভালো শুরু করেন। এই জুটিতে যোগ হয় ২৬ রান। এরপর দলীয় ২৬ রানের মাথায় ব্রেইসের বলে তুলে মারতে গিয়ে ফ্রেসারের হাতে ধরা পড়েন মুরশিদা। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ১২ রান।
মুরশিদার বিদায়ের পর সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে দারুণ জুটি গড়েন সাথী। এই দুইজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে লড়াকু স্কোরের ভিত পায় বাংলাদেশ। দলীয় ৬৮ রানের মাথায় ফ্রেসারের বলে হোরলেই এর হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন সাথী। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ২৯ রান। এরপর অধিনায়ক জ্যোতিকে নিয়ে খুব বেশিদূর যেতে পারেননি সোবহানা। দলীয় ৮৬ রানের মাথায় বেলের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে আউট হন। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৩৮ বলে ৩৬ রান। এরপর বাকি ব্যাটাররা মিলে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য এনে দেন।