সংস্কার কমিশনেও ‘রেজিম সরকারের’ দোসর, সতর্কতার আহ্বান মামুনুলের
হেফাজতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারে অনেকগুলো কমিশন গঠন হয়েছে। প্রতিটি কমিশন আলাদা আলাদা করে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবে, আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি করবে। সেই প্রস্তাবনা তৈরি হলে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। তারপরেই সকলের মতামত নিয়ে সংস্কার প্রস্তাবনা কাজ শুরু করবে।
মামুনুল হক বলেন, আমরা বলেছি যে শিক্ষা কমিশন বাতিল করা হয়েছে, এখন আরও একটি শিক্ষা কমিশন গত ৩০ সেপ্টেম্বর গঠন করা হয়েছে প্রাথমিক ও উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বিষয়ে। সেক্ষেত্রে কিছু আপত্তির জায়গা রয়েছে। এই কমিশনে এমন ব্যক্তি রয়েছে, যারা বিগত রেজিম সরকারের হয়ে কাজ করেছে। এখানে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার বিপক্ষে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন এমন ব্যক্তিও রয়েছেন। আমরা এই বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টাকে আরও সতর্ক থাকার কথা বলেছি। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যাতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেটা বলেছি।
সংলাপ শেষে শনিবার (৫ অক্টোবর) ৮টার দিকে প্রধন উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে এ কথা বলেন। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ করেন ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন মাওলানা শায়খ সাজেদুর রহমান, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা আবদুল বাসেত আজাদ, মাওলানা সরোয়ার কামাল আজিজী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, ড আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা মামুনুল হক, মাও. মনজুরুল ইসলাম আফেন্দী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, মাও. আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
মামুনুল বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কথা বলেছি। বাজার মূল্য যাতে নিয়ন্ত্রণে আসে সেই বিষয়ে কথা বলেছি।